রেলপথ (Railways) বাংলাদেশ রেলপথের পরিমাণ অল্প হলেও ভারী দ্রব্য পরিবহন, শিল্প ও কৃষিজ দ্রব্য, শ্রমিক পরিবহন প্রভৃতি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটা দেশের প্রধান কন্দর, শহর, বাণিজ্য ও শিল্প কেন্দ্রের সঙ্গে সংযােগ সাধন করে
ব্রডগেজ রেলপথ যমুনা নদীর পশ্চিমাংশে রাজশাহী ও খুলনা | বিভাগে ৬৫৯ কিলােমিটার।ডুয়েলগেজ রেলপথ জামতৈল থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৩৭৫ কিলােমিটার।মিটারগেজ রেলপথ যমুনা নদীর পূর্বাংশ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ১,৮৪৩ কিলােমিটার।
সমতলভূমি সমতলভূমি রেলপথ নির্মাণের জন্য সুবিধাজনক। এতে খরচ কম হয় ও সহজে নির্মাণ করা যায়। বালাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল সমতল। এজন্য পাহাড়ি, বনাঞ্চল, | জলাভূমি ছাড়া প্রায় সব স্থানেই রেলপথ গড়ে উঠেছে।সমুদ্রের অবস্থান। সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে কন্দর গড়ে ওঠে। এই কন্দরের কারণে অন্যান্য সমস্যা থাকলেও রেলপথ গড়ে ওঠে। এজন্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল বাদ দিয়ে কন্দরকে | কেন্দ্র করে সমতলভূমিতে রেলপথ গড়ে উঠেছে।উঁচুনিচু ও বন্ধুর প্রকৃতির ভূমিরূপের জন্য পাবর্ত্য এলাকায় রেলপথ নির্মাণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে | পাহাড়ের গা বেয়ে রেলপথ নেই বললেই চলে নিম্নভূমি ও মৃত্তিকা মৃত্তিকার বুনন যথেষ্ট মজবুত না হলে রেলপথ গড়ে ওঠে না। এছাড়া নদী বেশি থাকলে রেলপথ গড়ে ওঠাও কঠিন। তাই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলপথ কম।
১ মিটার প্রস্থ রেলপথ মিটারগেজ এবং ১.৬৮ মিটার প্রস্থ রেলপথ ব্রডগেজ নামে পরিচিত।বর্তমানে তিস্তামুখঘাট ও বাহাদুরাবাদঘাট এবং সিরাজগঞ্জ ও জগন্নাথগঞ্জের মধ্যে ২টি রেলওয়ে ফেরি চালু রয়েছে।
ঢাকার কমলাপুর দেশের বৃহত্তম রেল স্টেশন। ঢাকা থেকে দেশের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ শহরে রেলযােগে যাতায়াত করা যায়। বাংলাদেশে সর্বমােট ৪৪৩টি রেল স্টেশন আছে (উৎস : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান পকেটবুক ২০১২ জুন ২০১৩, সারণি ৮.০১)। কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, কাঁচামাল ও জনসাধারণের নিয়মিত চলাচল, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ, শ্রমিক স্থানান্তর, কর্মসংস্থান তথা বাংলাদেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও পুনর্গঠনে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।বালাদেশ রেলওয়ের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সফলতা অর্জনে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি যুগােপযােগী ও আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থায় পরিণত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ