Subscribe Us

Header Ads

MIRAN'S IT তে আপনাকে স্বাগতম।

পড়াশোনা বিশিষ্ট্য বিভিন্ন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

দ্বীনের রাস্তায় ফেরা

 "আমি একা, এই ব্রহ্মান্ডের ভেতরে একটি বিন্দুর মতোই আমি একা"

--রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

একাকি দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি আর এই উক্তিকে ক্যাপশন হিসেবে দেইনি এমনটা খুব কমই 
হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ দ্বীনের রাস্তায় ফেরার পরে ছবি সব জায়গা থেকে থেকে মুছে 
ফেললেও উক্তিটা যেনো আজও আমায় ভাবায়।

জানিনা, লেখক কি ভেবে বলেছিলেন কথাটা। তবে উক্তিটি নিছক মিথ্যেও নয়! এ দুনিয়ায় 
কেউই কারো নয়। শুধু এ দুনিয়া বললে ভুল হবে কিয়ামতের মাঠেও না আমি আমার মা 
বাবার, আর না আপনি হবেন আপনার প্রাণ প্রিয়দের! যে কোনো সম্পর্ক, আত্মীয়তা এ 
পরীক্ষা ক্ষেত্রের এক একটা প্রশ্নপত্র মাত্র। আর এজন্যই আল্লাহ সুবহানু 
ওয়া'তালা বলেছেন,
"মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি 
ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো 
দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র।"[আল ইমরান-১৪]

রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ব্যস্ত 
থাকি দুনিয়া নিয়ে। অথচ যে স্রষ্টার দানে এ জীবন তার ডাকে পাঁচবার কেনো 
একটাবারও সাড়া দিতে সময় হয় না আমাদের! ওয়াল্লাহি, যেদিন আমাদের হিসেব নিকেশ 
হবে সেদিন কেউই আমার বা আপনার জন্য এগিয়ে আসবে না, কেউই না। কেনোনা আল্লাহ পাক 
পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
"এবং কেয়ামত দিবসে তাদের তাঁর (আল্লাহর) নিকট আসতে হবে একা"[সূরা মারইয়াম-৯৫]
কি ভাবছেন একা যাবো কিন্তু কর্মের কথাটা না হয় দশে মিলেই বলবো? তবে বলতে হয়, 
আল্লাহর প্রিয় হাবীব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াস সালাম বলেছেন,
"সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে আল্লাহ সরাসরি কথা বলবেন। মাঝখানে কোনো দোভাষী 
থাকবে না"[মুসলিম-১০১৬]

এই যে হন্যে হয়ে ছুটে চলেছেন অর্থের পেছনে, প্রিয় মানুষের পেছনে, নামের পেছনে, 
আচ্ছা একটাবারও ভেবেছেন কি একক আপনার সাথে আপনার রবের সম্পর্কের সেতু কতটা 
মজবুত? যে দুনিয়া দুনিয়া করে আপনার সব কিছু উজাড় করছেন জানেন তো আল্লাহ পাক সে 
দুনিয়া সম্পর্কেই বলেছেন,
"এ দুনিয়া তো খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়"[সূরা আনকাবূত-৬৪]

যে স্রষ্টার আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সময় পার করছেন এ রঙ্গমঞ্চে, সেখানে 
যেমন আপনি এসেছিলেন একা ঠিক তেমনিও যাবেন একা। আপনার কর্মের ভার আপনাকেই বহন 
করতে হবে। চাকচিক্যময় এ পরীক্ষা ক্ষেত্রের প্রতিটা পদক্ষেপই জাঁকজমকপূর্ণ 
প্রশ্ন বৈ আর কিছু নয়। যা সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানু ওয়া'তালা বলেছেন,
"আসলে পৃথিবীতে এ যা কিছু সাজ-সরঞ্জামই আছে এগুলো দিয়ে আমি পৃথিবীর সৌন্দর্য 
বিধান করেছি তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্য থেকে কে ভাল কাজ 
করে।"[সূরা কাহাফ-০৭]

হয়তো বলবেন, দুনিয়াতে থেকে দুনিয়া নিয়ে মগ্ন না হওয়া কতটা যুক্তিসম্মত..তবে 
বলবো ঠিক ততটা যুক্তিসম্মত যতটা আপনি পরকালে বহন করতে পারবেন। এরপরেও যদি মনের 
কোণে সন্দেহ এসে কড়া নাড়ে তাহলে শাখক সালেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিজুল্লাহর ভাষায় 
বলতেই হয়,
" ওহে আল্লাহর গোলাম! তুমি ঐ ব্যক্তির মত হইয়ো না যে আল্লাহকেও খুশি রাখে এবং 
শয়তানকেও খুশি রাখে"।






পোস্ট টি লিখেছেন ঃ

Name: Engineer Ripon Miah

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ