মহানবী (সাঃ)-মদিনায় হিজরতের পর সেখানে একটি সুদৃঢ় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে
ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। খ্রিষ্টীয় নবম হিজরিতে মহানবী (সাঃ)-এর নিকট
আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য প্রতিনিধি দল ইসলাম ধর্ম গ্রহণের উদ্দেশ্যে
আগমন করে।যার কারণে এই বছরকে 'প্রতিনিধি প্রেরণের বছর' বলা হয়। মদিনার জনগণ
আগত এসকল প্রতিনিধিদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান।ইসলাম ধর্মের শিক্ষা প্রদানের
জন্যে প্রত্যেক গোত্র বা দলকে একজন শিক্ষক দেওয়া হয়।এবং একটি করে লিখিত
সন্ধিপত্র দেওয়া হয়।এসময় দক্ষিণ সিরিয়ার ইহুদি, খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা ও
মহানবীর নিকট থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।এবং আনুগত্যের স্বীকৃতি স্বরূপ
নিরাপত্তা কর জিজিয়া প্রদান করে।এ বছর আরও যেসকল এলাকার অধিবাসীরা ইসলাম গ্রহণ
করেছিল সেগুলো হল ওমান,ইয়েমেন, বাহরাইন, হাজরামাউত,নাজরান প্রভৃতি।সিরাহ
রচয়িতা ইবনে হিশাম বলেন,"ইসলাম ধর্ম গ্রহণের উদ্দেশ্য আগত অসংখ্য প্রতিনিধিকে
মহানবী (সাঃ)-এবছর সাদরে অভ্যর্থনা জানান বলে এবছরকে 'প্রতিনিধি প্রেরণের
বছর ' বা 'সানাৎ আল-উফুদ' বলে।এছাড়া মহানবী এই সময় তার অনুগত অনেক শিষ্যকে
ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্যে বিভিন্ন এলাকার দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছিলেন।
একারণে ও এই বছরকে (৬৩০/৩১) প্রতিনিধি প্রেরণের বছর বলা হয়।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজনের ইসলাম গ্রহণ এবং মহানবী কর্তৃক প্রেরিত
প্রচারকদের প্রচারণার ফলে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
এবং ইসলাম একটি শক্তিশালী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ