পলিমারকরণ (Polymerization)।
আমরা আগেই বলেছি কৃত্রিম পলিমারগুলাে পরীক্ষাগারে বা শিল্প-কারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়। যে প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মনােমার যুক্ত হয়ে উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট বৃহদাকার অণু তৈরি হয় তাকে পলিমারকরণ (Polymerisation) বলে। সাধারণত পলিমারকরণে উচ্চচাপ ও তাপের প্রয়ােজন হয়। দুটি মনােমার একসাথে যুক্ত হয়ে ডাইমার তৈরি হয়, অনুরুপভাবে তিনটি মনােমার একসাথে যুক্ত হয়ে ট্রাইমার ও অসংখ্য বা n সংখ্যক মনােমার একসাথে যুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি হয়।
1টি মনােমার + 1টি মনােমার – মনােবার-মনােমার বা (মনােমার), 1টি মনােমার + 1টি মনােমার + 1টি মনােমার – মনােবার - মনােমার - মনােমার বা (মনােমার), | n মনােমার + (মনােমার)n
ইথিলিন গ্যাসকে ১০০০-১২০০ বায়ুমন্ডলীয় চাপে ২০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে পলিথিন উৎপন্ন হয়। তবে বিক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য অক্সিজেন গ্যাসকে প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উচ্চ চাপ পদ্ধতিটি জটিল হওয়ায় বর্তমানে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় না। এখন বায়ুমন্ডলীয় চাপে টাইটেনিয়াম ট্রাইক্লোরাইড (TiCl3) প্রভাবক ব্যবহার করে পলিথিন তৈরি করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ