বিজ্ঞান কি সম্পূর্ণ মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন?
একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে।
আগেই জানিয়ে রাখি আমি ভালো মানের কোন গবেষক না এবং ভালো কোনো গবেষকের ছাত্র হওয়ার যোগ্যতাও বোধ হয় রাখি না। এটি একজন সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনা থেকে লেখা। এই লেখার মধ্যে যতগুলো যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো আপনার কাছে যথার্থ মনে নাও হতে পারে। লেখার মধ্যে ব্যাকরণগত এবং ভাষাগত ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে এবং এই লেখাটির বিভিন্ন জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন পড়তে পারে। যে কোন মানুষের যে কোন প্রকার গঠনমূলক সমালোচনা এবং সংশোধনের প্রয়াস নিঃস্বার্থে গ্রহণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
বিজ্ঞান কি সম্পূর্ণ মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন?
বিজ্ঞান বৈশিষ্ট্যগতভাবে যে সংজ্ঞা বহন করে তা কিছুটা এমন,
" বিজ্ঞান হল প্রাথমিক স্তরে একটি অনুমানের নাম, মাধ্যমিক স্তরে সেটি বর্তমান সময় অথবা সমকালীন সময়ের জন্য মোটামুটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং একই সাথে গবেষণার ফলে ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠিত সত্য রূপান্তরিত হয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিণত হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ আমরা পৃথিবীর আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি সম্পর্কে মানুষের পূর্বের ধারণা এবং বর্তমান ধারণাকে উল্লেখ করতে পারি।
এছাড়া Albert Einstein সহ পৃথিবীর প্রথিতযশা বিজ্ঞানীরা মনে করেন nothing can go or move faster than light. পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মানুযায়ী এটি সঠিক হলেও বিজ্ঞানের সব দিক দিয়ে কথাটি সঠিক নয়। আমেরিকার সিটি কলেজ নিউ ইয়র্ক এর স্বনামধন্য শিক্ষক এবং জাপানিজ বিজ্ঞানী Michio Kaku দাবি করেন big bang, empty space, stimulation of any information actually can move faster the light speed.
আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি আরো বলেন, দুটি ইলেকট্রন কে পাশাপাশি রেখে একটি ইলেকট্রন কে ঝাকাঝাকি করলে অন্য ইলেকট্রনটি যে গতিতে সাড়া প্রদান করে তা আলোর গতি থেকেও বেশি।
প্রথমেই আলোচনা করি বিগ ব্যাং এর বিষয়টি। তিনি বলতে চেয়েছেন বিগব্যাং যখন চারিদিকে বিস্তার লাভ করতে থাকে এই বিস্তার লাভের গতি আলোর গতির থেকেও বেশি ছিল।
দ্বিতীয়তঃ খালি জায়গা। একটি আলোর চলার পথে যদি কোন কঠিন অস্বচ্ছ বস্তু বাধা দেয় তাহলে সেই বস্তুকে উপেক্ষা করে আলো অপরপ্রান্তে যেতে যত সময় নেয়, বস্তুটি সরিয়ে নিলে ওই জায়গাটি খালি হতে যত সময় নেয় তা আলোর থেকেও অনেক কম অর্থাৎ আলোর থেকেও অধিক গতিতে জায়গাটি খালি হয়ে যায়।তৃতীয়তঃ কোন তথ্যের বিষয়ে যদি পূর্বের কোন জ্ঞান আমাদের কাছে আগেই মওজুদ থাকে এবং ওই একই তথ্য যদি আমাদের সামনে পুনরায় ঘটে, তাহলে ওই তথ্যটির বিষয়ে আমাদের মস্তিষ্ক যে গতিতে সাড়া প্রদান করে সেই গতি আলোর গতির থেকেও অনেক বেশি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনার বন্ধু একদিন আপনার সামনে ঘরের দরজা টি সজোরে লাগিয়ে দিল এবং এতে প্রচণ্ড একটি শব্দ হলো।
ওই একই কাজ যদি সে আপনার সামনে পুনরায় করে, তাহলে আপনি দরজাটি লেগে শব্দ হওয়ার পূর্বেই এই তথ্য মস্তিষ্কে ধারণ করবেন যে এখন একটি শব্দ হতে যাচ্ছে।
অথবা আপনার ছোট ভাই দুই পায়ে লাল মোজা ব্যবহার করে আর আপনি সেটি খুব ভালো করেই জানেন। একদিন সে একটি লাল মোজা এবং একটি সবুজ মোজা নিল। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, যখন সে আপনার সামনে প্রথম একটি পায়ে লাল মোজা পরলো, তখন আপনার মস্তিষ্কে এই তথ্য পৌঁছে গেল যে অপর পায়েও লাল মোজাই পরবে, অথচ সে সবুজ মোজা পরলো।
অর্থাৎ পূর্ব থেকে একটি বিষয় জানা থাকলে পরবর্তীতে একই বিষয় ঘটলে যে গতিতে তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছায় এই পৌঁছানোর গতি আলোর গতির থেকেও বেশি।( তবে এ বিষয়টি এখনো গবেষণাধীন)। আমি এখানে শুধু সম্ভাবনার কথা বলেছি।এখান থেকে বোঝা যায় বিজ্ঞান বর্তমানের যে কোনো প্রতিষ্ঠিত সত্যকে ভবিষ্যতে গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত নতুন প্রতিষ্ঠিত সত্যে রূপান্তরিত করে এবং পূর্বের সত্যকে অগ্রহণযোগ্য প্রমাণ করে।
বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন উক্তি অনুযায়ী যখন তারা গবেষণাকর্ম পরিচালনা করে এরকম অনেক ঘটনাই আমরা পৃথিবীবাসী সাক্ষী আছি যে তারা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কোন একটি বিষয় আবিষ্কার করতে চাচ্ছিলেন এরই মধ্যে অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্য আরেকটি বিষয় আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রথম কথাটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত কোন বর্তমান সত্য কখনোই চূড়ান্ত সত্য নয় এবং দ্বিতীয় কথাটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম বিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানীদের গবেষণাকর্ম কখনোই পুরোপুরি ভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
একইভাবে বিজ্ঞানের কোন একটি নতুন বিষয় মানুষের হিত অথবা কল্যাণ সাধন করবে নাকি মানুষের জন্য অভিশাপে পরিণত হবে সে বিষয়টিও অনেকাংশে মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ডেনামাইট আবিষ্কার করা হয়েছিল মানুষ ও মানবতার কল্যাণে তবে সেটা দিয়ে কল্যাণের পাশাপাশি পৃথিবীতে দিনের-পর-দিন অকল্যাণও সাধিত হয়েছে।
নিঃসন্দেহে প্রথমবারের মতো পরমাণু আবিষ্কার করতে পারা মানুষের জন্য কল্যাণের সুসংবাদ বয়ে আনলেও আজকের সেই পরমাণু থেকে তৈরি পারমাণবিক অস্ত্র পৃথিবীর মানুষের জন্য সবথেকে ভয় এবং হুমকির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই এ কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা যেতে পারে বিজ্ঞানের আবিষ্কার তথা বিজ্ঞান সম্পূর্ণভাবে মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
প্রকৃতি কি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে?
উত্তর হচ্ছে, 'না'।
প্রকৃতি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে না। যদি তাই রাখতো তাহলে হাজার হাজার বছর পূর্বে প্রকৃতিতে এমন অনেক গাছপালা ছিল যা আজকে নেই আর প্রকৃতির সৃষ্টি করার ক্ষমতা থাকলে নিজের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকৃতি সেই গাছপালাগুলো পুনরায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনতো।
চলুন কয়েকটি উদাহরণের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করি।একটা সময় মানুষ কয়লার ট্রেন চালাতো। এখন আর চালায় না কেন?
অনেকে বলবেন বিজ্ঞান এর উৎকর্ষ এবং প্রযুক্তির উত্তম ব্যবহার উদ্ভাবিত হওয়ার ফলে কয়লার ট্রেন বিলুপ্ত হয়েছে এবং সেখানে নতুন সংযোজন হিসেবে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হয়েছে। আমি বলছি না বিষয়টি অযৌক্তিক। তবে আমি যে বিষয়টি উল্লেখ করতে চাচ্ছি সেটি হল কয়লার ট্রেন থেকে বৈদ্যুতিক ট্রেনের এই পরিবর্তনটি কেন প্রয়োজন হল? কেন এত গবেষণার মাধ্যমে একটি ট্রেন ব্যবস্থা কে কয়লা থেকে বিদ্যুতে আনা হল?
উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি নিজগুণে নিজ ক্ষমতায় পুনরায় যখন ইচ্ছা কয়লা উৎপাদন করতে পারে না, অর্থাৎ প্রকৃতির সৃষ্টি করার ক্ষমতা না থাকার কারণে মানুষও অনবায়নযোগ্য সম্পদ বিনষ্ট করার পরিবর্তে নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারে জোর দেওয়া শুরু করেছে।
অনেকেই বলতে পারেন যে জলবিদ্যুৎ অথবা কয়লা বিদ্যুৎ অনবায়নযোগ্য। আমি বলব কয়লা থেকে বিদ্যুৎ এ আসাটা হচ্ছে ও নবায়নযোগ্য শক্তির সাথে পরিচিত হওয়ার প্রথম পর্যায়। এরপর মানুষ যখন দেখে পানি এবং কয়লা দুটি অনবায়নযোগ্য সম্পদ তখন মানুষ পারমাণবিক বিদ্যুৎ অথবা সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হওয়া শুরু করেছে। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যে মানুষ সহজেই বুঝতে পেরেছে প্রকৃতির নিজের সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই তাই কয়লা এবং পানিকে আমরা অনবায়নযোগ্য সৃষ্টি হিসেবে উল্লেখ করে পারমাণবিক এবং সৌর শক্তির মত নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করছি।
অনেকে আবার চট করে বলে বসবেন, এইতো প্রকৃতি নিজে অনবায়নযোগ্য শক্তির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তির সৃষ্টি করেছে। যিনি সৃষ্টি করেন তিনি স্রষ্টা এবং শ্রেষ্ঠতম স্রষ্টার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা।
আমরা কী দেখছি প্রকৃতি কি আসলেই এই অনবায়নযোগ্য শক্তি গুলো নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে?
উত্তর হচ্ছে, 'না'। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, অতিরিক্ত রৌদ্র কিরণ এবং গ্রীষ্মের দাবদাহে বনে জঙ্গলে দাবানলের সৃষ্টি হলে প্রকৃতি নিজ থেকে সেটি তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না। তখন প্রকৃতি মানুষের সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়।
অনেকে আবার হুট করে প্রশ্ন করে বসবেন, তাহলে এই সৃষ্টি যদি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ করে থাকেন, আর দাবানলে সৃষ্টি হয় তখন যদি মানুষ এই দাবানল কে নেভানোর চেষ্টা করে, তখন মহান আল্লাহতায়ালা কি মানুষের মুখাপেক্ষী নন? নাউজুবিল্লাহ।
সংগৃহীত
উত্তর, কখনোই না।
কেননা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতালা নিজের যে বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা করেছেন এবং তার কার্যপ্রণালী আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন এই দাবানল তারই একটি দৃষ্টান্ত।
দাবানল কেন হয় যদি এই প্রশ্ন সৃষ্টিকর্তাকে করা হয় তাহলে সৃষ্টিকর্তার তার উত্তর দিতে সক্ষম।
সৃষ্টিকর্তার তখন বলতে চান, আমি তোমাদের কল্যাণের জন্য এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছি, আর এই দাবানলে আপাতত দৃষ্টিতে তোমরা অকল্যাণ দেখলেও অদূর ভবিষ্যতে এর কল্যান উপভোগ করবে।
প্রকৃতি কি সর্বশক্তিমান কল্পনাতীত স্রষ্টার শক্তিতে ভবিষ্যতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে না?
উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই হবে।
প্রকৃতির কোন কিছুই যেহেতু প্রকৃতি নিজে সৃষ্টি করেনি আর কোন কিছুই শূন্য থেকে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় বৈজ্ঞানিক সূত্র অনুযায়ী তাই সব কিছুর একজন চূড়ান্ত স্রষ্টা আছেন যিনি তার ইচ্ছামত সৃষ্টি করেছেন এবং এই সৃষ্টির নির্দিষ্ট মেয়াদ ঠিক করে দিয়েছেন। প্রকৃতিও তার বাইরে নয়। এই প্রকৃতির কোন বস্তুই চূড়ান্ত অনবায়নযোগ্য না। প্রতিটি বস্তুরই একদিন নিঃশেষ হয়ে যেতে হবে মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়। আর এ কারণেই আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা, নতুন নতুন ভাইরাসের উদ্ভাবন, ওজোন স্তরের ক্ষতি সাধন সহ নানা বিধ কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে।
আবার মহান সৃষ্টিকর্তা বিভিন্ন উপসর্গ প্রদান করে সেই প্রকৃতিতে কিছুটা সজিবতা এবং কল্যান ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
পবিত্র কোরআন মাজিদে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখনিঃসৃত সত্য বাণী প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বেই আমাদেরকে বলে দিয়েছে কোন কোন দিক গুলো প্রকাশ পেলে চূড়ান্ত ধ্বংস শুরু হয়ে যাবে মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। সেসকল বিষয়গুলোর অনেকগুলোই ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। যা কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। অল্প কিছু বাকি রয়েছে যেগুলো চূড়ান্ত।এটা নিতান্তই সত্যকে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস করার পার্থক্য। অতীতে ওয়াদাকৃত একাধিক বাক্য যখন বর্তমানে সত্যে বাস্তবায়িত হয় এবং কোনো কারণ ছাড়াই যখন মানুষ এই সত্যকে অস্বীকার করে তখন এটা বিশ্বাস করা এবং না করা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
তবে অচিরেই চূড়ান্ত সত্য সমাগত হবে ইনশাআল্লাহ।
কেমন স্রষ্ঠা প্রকৃত স্রষ্ঠা? কোন বৈশিষ্ট্য গুলো তাঁকে প্রকৃত স্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?
এখানে যুক্তি উপস্থাপন করার মত তেমন কিছু নেই। যে কয়েকটি পয়েন্ট আলোচনা করব সেগুলো নিজ থেকেই অনেক বড় এক একটি যুক্তি।
১. যে স্রষ্ঠা সীমাহীন অতীত থেকে অসীম ভবিষ্যৎ পর্যন্ত চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর।
২. যিনি জীবকূলের মত বংশবৃদ্ধি করেন না অর্থাৎ নিজের জাত এর বৃদ্ধি ঘটান না এবং এই না ঘটানোর মাধ্যমে সকল পিছুটান ও স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি সহ সকল নেতিবাচক বিষয় থেকে মুক্ত।
৩. যে স্রষ্টার সৃষ্টি করার যোগ্যতার কোন সীমাবদ্ধতা নেই এবং বিবেক সম্পন্ন প্রাণীরা তার সৃষ্টির যোগ্যতার উচ্চতম স্তরকে কল্পনাশক্তি দিয়েও চিন্তা করতে পারবে না।
৪. যে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর যে কোনো অপরাধ যে কোন সমস্যা এবং যেকোন বিষয়ের সবচেয়ে সুন্দর সমাধান দিতে পারেন।
আর এসব কিছুর সবথেকে সুন্দর সমস্যার সমাধান হচ্ছে জান্নাত এবং জাহান্নাম। মহান স্রষ্টার এই দুই সৃষ্টি পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
৫. প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সত্য এবং মিথ্যা, ন্যায় ও অন্যায়, কল্যাণ এবং অকল্যাণ, পুরস্কার এবং শাস্তির তিনি যে মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন, কেউ মানুক আর নাই মানুক এটি চূড়ান্ত মানবতা এবং এটি চূড়ান্ত কল্যাণ সাধন করবে এবং দিনশেষে এটাই হবে।
এটা বিবেকসম্পন্ন প্রাণীদের জ্ঞান অত্যন্ত কম আর না হয় বোঝার সীমাবদ্ধতা।
সর্বশেষ আল্লাহ তাআলার নিরানব্বই টি নাম রয়েছে সেই নাম গুলো যে বৈশিষ্ট্য বহন করে
সেগুলোই একজন প্রকৃত স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য।
এই লেখাটির মূল বিষয় হচ্ছে,
বিজ্ঞানের থেকে মানুষ বড়, মানুষের থেকে প্রকৃতি বড় এবং সর্বশেষ প্রকৃতি থেকে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা সবার থেকে বড় এবং শ্রেষ্ঠ।
যারা বিজ্ঞানকে স্রষ্ঠা মনে করেন বা ঈশ্বরের জায়গায় বসিয়েছেন তাদের জেনে রাখা ভালো হবে মানুষই বিজ্ঞান এর স্রষ্টা,অন্যদিকে মানুষ এই বিজ্ঞান সৃষ্টিতে ব্যবহার করে প্রকৃতির উপাদান।
আর প্রকৃতির প্রত্যেকটি উপাদান নিখুঁতভাবে মহান আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। তাই এক কথায় বিজ্ঞান, মানুষ, প্রকৃতি এবং এই বিশ্ব জাহান সবকিছুই একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
পোস্ট টি লিখেছেন ঃ
NAME: Fahad Bin Mizan
0 মন্তব্যসমূহ