সংখ্যা পদ্ধতি
সংখ্যা(Number)ঃকোনো কিছুর পরিমান বুঝানোর জন্য যা ব্যবহার করা হয় তাই সংখ্যা।
গণনা, পরিমান, পরিমাপ কারার জন্যে ব্যবহার করা হয়।
অংক (Digit)ঃ অংক হলো সংখ্যা গঠনের প্রতীক বা চিহ্ন। সংখ্যা কে বিভক্ত করলে এক
বা একাধিক অংক পাওয়া যায়। সকল অংকই সংখ্যা কিন্তু সকল সংখ্যাই অংক নয়।
যেমনঃ 3429 একটি অংক বিশিষ্ট একটি সংখ্যা । যার অংক গুলো হলো - 3, 4, 2, 9।
যারা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা ভাবে একটি সংখ্যা।
সংখ্যা পদ্ধতিঃ সংখ্যা লিখে প্রকাশ করার পদ্ধতি কে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অথবা,
বিশেষ কিছু চিহ্ন বা অংক ব্যবহার করে যে পদ্ধতিতে গণনা করা হয় তাকে সংখ্যা
পদ্ধতি বলে।
সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদঃ
সংখ্যা পদ্ধতি কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১.অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বা Non Poeitional Number System.
২.স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বা Positional Number System.
১. অস্থানিক সংখা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি প্রতিক বা অংকের কোনো
স্থানীয় মান নেই, তাকে অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন-
ট্যালি,হায়ারোগ্লিফিক্সে,মেয়্যা
২. স্থানিক সংখা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি প্রতিক বা অংকের নির্দিষ্ট
স্থানীয় মান আছে তাদের কে স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
Base বা ভিত্তি এর উপর ভিত্তি করে স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি কে চার ভাগে ভাগ
করা যায়।
যথা-
ক.বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি।খ.অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি।
গ.ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি।
ঘ.হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি।
ক. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যার ভিত্তি বা Base দুই অথবা যে সংখ্যা গণনা
করার জন্যে দুইটি প্রতিক বা অংক ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
বলে। প্রতিক বা অংক দুইটি হলো 0 এবং 1.
যেমন - 111101, 1010.1, 11001101 ইত্যাদি।
খ.অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যা পদ্ধতি গণনা করার জন্যে আটটি অংক বা প্রতিক
ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
এই সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা Base আট।
অংক আটটি হলোঃ ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭।
যেমন- ২৪৫৬,৫৬৭,৭৬৫,৪৩২৫ ইত্যাদি।
গ. ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা Base দশ অথবা যে
সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশ করার জন্যে দশটি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে
ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির প্রতীক বা অংক গুলো হলো
০,১,২,৩, ৪,৫,৬,৭,৮,৯।
যেমন-৬৭৮,৯৮৫,২৩৯ ইত্যাদি।
ঘ. হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা Base হলো ষোল
অথবা যে সংখ্যা লিখে প্রকাশ করার জন্যে ষোল টি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়,
তাকে হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির অংক বা
প্রতীক গুলো হলো -০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E
যেমনঃ 12DC, AE34, 67F5B ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ