:
ক) প্রত্যক্ষ খরচ : প্রত্যক্ষ কাঁচামাল বা মজুরির আওতাভুক্ত না হয়েও যে খরচগুলাে পণ্যের সাথে সরাসরি চিহ্নিত করা যায়, তাকেই প্রত্যক্ষ খরচ বলে। এ খরচগুলােকে আরােপণযােগ্য খরচ (Chargeable Expenses) বলা হয়। যেমন
* দালালকোঠা নির্মাণে বিশেষ কংক্রিট মিক্সারের ভাড়া
* স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন খরচ
* জুতা তৈরির জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা ফর্মা বা পায়ের ছাঁচ
* কোনাে চুক্তির ঠিকাকার্য পাওয়ার জন্য যে খরচ, যেমন- দরপত্রের ক্রয়মূল্য, ভ্রমণ ব্যয় ইত্যাদি।
খ) পরােক্ষ খরচ: যে ব্যয় উৎপাদিত প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায় না তাকেই পরােক্ষ ব্যয় বলে। যেমন- একটি টেবিল তৈরি করতে কতটুকু পেরেক খরচ হয়েছে, তা চিহ্নিত করা যায় না। এ ধরনের ব্যয়গুলােকে পরােক্ষ ব্যয় হিসাবে গণ্য কা হয়। সাধারণত কোনাে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য এবং এর অভ্যন্তরের বিভিন্ন প্রকারের সহায়ক কাজ ও সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য পরােক্ষ ব্যয় সংঘটিত হয়ে থাকে। পরােক্ষ খরচ তিন প্রকার।
0 মন্তব্যসমূহ