পদার্থঃ ভৌত জগতের যে সব বস্তু সমূহর নির্দিষ্ট ভর,আকার,আয়তন আছে এবং বল
প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে বিজ্ঞানের ভাষায় সেসব বস্তু সমূহ কে পদার্থ বলে।
পদার্থ সাধারণত তিন অবস্থায় থাকতে পারে।
যথা-
১. কঠিন অবস্থা।
২. তরল অবস্থা।
৩. গ্যাসীয় অবস্থা।
১. কঠিন অবস্থাঃ যে সব পদার্থের নির্দিষ্ট ভর, আয়তন ও আকৃতি থাকে তাদেরকে কঠিন
পদার্থ বলে। কঠিন পদার্থের কণা গুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি সব থেকে
বেশি এবং গতিশক্তি অনেক কম।
উদাহরণঃ কাঠ,ইট,পাথর,সোনা,রুপা ইত্যাদি।
২. তরল পদার্থঃ যে সব পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও ভর আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার
নেই তাদের কে তরল পদার্থ বলে।
তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি কঠিন পদার্থের মত প্রবল নয় তবে গ্যাসের
তুলনায় বেশি। তরলের গতিশক্তি কঠিন পদার্থের থেকে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অণু
সমূহ চলাচল করতে সক্ষম হয়।এই জন্য তরলের মধ্যে একটি টলমলে ভাব থাকে।
উদাহরণঃ অ্যালকোহল,দুধ,পানি ইত্যাদি।
৩. গ্যাসীয় পদার্থঃ গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার, আয়তন নেই তবে ভর আছে
এবং যখন যে পাত্রে রাখা হয় তখন সে পাত্রের আকার ধারণ করে। গ্যাসীয় পদার্থের
আণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি নেই কিন্তু আন্তঃআণবিক গতি শক্তি আছে।
এই জন্য এই পদার্থের ঘনত্ব খুব কম সংকোচনশীলতা খুব বেশি।
উদাহরণঃ হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ