আমরা আগেই জেনেছি যে, অধিকাংশ প্লাস্টিক এবং কৃত্রিম রাবার পচনশীল নয়। তাই এদের রিসাইকেলের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার না করে বর্জ্য হিসেবে অপসারণ করলে এগুলাে পরিবেশে জমা হয়ে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কারণ এগুলাে মাটিতে পচে মাটির সাথে মিশে যায় না। আমাদের আশে-পাশের বেশিরভাগ নর্দমা বা নালায় প্রচুর প্রাস্টিক বা রাবার জাতীয় জিনিস পড়ে এক পর্যায়ে এগুলাের গতিপথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা পরিবেশকে ভারসাম্যহীন করে তােলে। অনুরূপভাবে প্লাস্টিক ও রাবার বর্জ্য নদ-নদী, হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে এর গভীরতা কমিয়ে দেয় যা নাব্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ। আবার প্লাস্টিক বা রাবারের বর্জ্য মাটিতে ফেলে দেওয়ায় এবং তা মাটিতে না পচার কারণে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। আবার ফেলে দেওয়া বর্জ্য খাবারের সাথে গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদির পাকস্থলীতে গেলে তা মাংস ও চর্বিতে জমা হতে থাকে। এমনকি নদ-নদী, খালবিলের মাছের দেহেও জমা হতে থাকে। এমতাবস্থায়, এসব মাছ, মাংস খেলে তা এদের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে ক্যান্সারের মতে মারাত্মক রােগ সৃষ্টি করতে পারে। প্লাস্টিক ও রাবার সামগ্রী সঠিক ব্যবস্থাপনা না করলে এটি যেমন মানব স্বাস্থের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে তেমনি মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তাই পাস্টিক ও রাবার সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে একসাথে জড়ো করে রাখতে হবে যাতে এগুলাে রিসাইক্লিং করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ সংরক্ষিত হবে, অন্যদিকে তেমনি দেশও আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
0 মন্তব্যসমূহ