আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভিত্তি
পৃথিবীতে প্রত্যেক দেশেরই বিদ্যমান সম্পদ এবং উৎপাদন ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। বিভিন্ন দেশের ভৌগােলিক অবস্থান, জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদের পার্থক্য, স্ব-স্ব দেশে উপকরণের প্রাচুর্যতার উপর নির্ভর করে উৎপাদন বা দুটি ভিন্ন দেশে দুটি ভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনে আপেক্ষিক ব্যয় সুবিধা ভােগ করার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংঘটিত হয়। দুটি দেশের মধ্যে উপকরণের সহজলভ্যতা, দক্ষতা ও উৎপাদনের মধ্যে বিশেষীকরণ এবং শ্রম বিভাগই হলাে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল ভিত্তি। যে দেশ যে দ্রব্যটি বেশি উৎপাদন করে তার উদ্বৃত্ত অংশ রপ্তানি করে বিনিময়ে প্রয়ােজনীয় অন্যান্য দ্রব্য অন্য কোনাে দেশ হতে আমদানি করে। এভাবে পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে দু বা ততােধিক দেশ বাণিজ্যে নিয়ােজিত হলে তাকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিমােক্ত শর্ত আবশ্যক :
১. একটি নির্দিষ্ট সময় বিবেচ্য ।
২. কমপক্ষে দুটি দেশ ও এক বা একাধিক পণ্য প্রয়ােজন ।
৩. দেশসমূহ স্বাধীন-সার্বভৌম হওয়া প্রয়ােজন ।
৪. দুটি পৃথক সরকার, ব্যাংক ও মুদ্রা ব্যবস্থা বিদ্যমান ।
৫. দুটি দেশে পৃথক বাণিজ্যনীতি বিদ্যমান ও
৬. পণ্য-সেবা বিনিময়ে লিখিত চুক্তি আবশ্যক।

0 মন্তব্যসমূহ