স্বল্পমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা
যখন সুনির্দিষ্ট কতগুলাে আর্থ-সামাজিক লক্ষ্য স্বল্প সময়, যেমন পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তখন স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা বলে। এ পরিকল্পনার মধ্যে এমন ধরনের কর্মসূচি, প্রকল্প ও লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে যেগুলাে জাতীয় স্বার্থে অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হওয়া প্রয়ােজন। প্রচলিত অর্থে বাংলাদেশের পঞ্চবার্ষিক ও দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনাগুলােকে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা বলা যায়। কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, বাণিজ্যের প্রসার, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সেচ ব্যবস্থার প্রসার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রভৃতি লক্ষ্যগুলাে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফেলে রাখা যায় না। সামাজিক স্বার্থে এগুলাে স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্জন দরকার । তাই এসব লক্ষ্য স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বল্পমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য হল
(ক) আর্থ-সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ও কর্মসূজির দ্রুত বাস্তবায়ন।
(খ) মেয়াদ ভিত্তিক বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার নিশ্চিত করা।
(গ) বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির সফলতা ও বিফলতা মুল্যায়ন করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(ঘ) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য সময়ােচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(ঙ) কখনও কখনও দেশে বিরাজমান বিশেষ পরিস্থিতির কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনার মত একটি স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
(চ) পরবর্তী পরিকল্পনাগুলাের উন্নয়ন প্রক্রিয়া সহজ ও ত্বরান্বিত করা।
0 মন্তব্যসমূহ